(বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুসরনে)
মোহাম্মদ বাবর চৌধুরী
এই পর্বে সহযোগিতায়ঃ
এবং
প্রকাশ কাল ২৯ই জুন ২০২০ইং
প্রকাশকঃ বাবর এন্ড এসোসিয়েটস্
[“কর্পোরেট লাইফ সিরিজ” এর লিখা সমূহ জ্ঞান অর্জনে ব্যবহার ও শেয়ার করার
অধিকার প্রকাশনা সংস্থা “বাবর এন্ড এসোসিয়েটস্” এর পক্ষ থেকে সবার জন্য
উন্মুক্ত করা হল]
স্থায়ী শ্রমিক- একটি আইনগত বিশ্লেষণ
প্রাককথনঃ
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ স্থায়ী
শ্রমিক নিয়োগ দিতে চায় না, পক্ষান্তরে শ্রমিকগণ সব সময় চায় একটি স্থায়ী
পদে নিয়োগ পেতে। সাধারণত একজন শ্রমিক স্থায়ী পদে নিয়োগ পেলে চাকুরী কালীন
সময় কাজের জন্য যেমন মজুরি ও বিভিন্ন ভাতা পায়, তেমনি চাকুরী পরিসমাপ্তি
কালীন, দীর্ঘ মেয়াদী চাকুরীর জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পায়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুসারে কোন প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কাজের বিপরীতে
স্থায়ী শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীর শ্রমিক নিয়োগ দানের সুযোগ নেই; তাই
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কার্য সম্পাদনে স্থায়ী
শ্রেনীর শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করতে হয়। প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী কার্য সম্পাদনে
স্থায়ী শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন শ্রেনীর শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করলে, নিয়োগ
প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্ত কাজে স্থায়ী শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত
শিক্ষানবিসকালের অধিক সময় কাজ করলে, নিজেকে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে দাবী করে
আদালতের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
স্থায়ী শ্রমিক একটি
প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের বৃহত্তর অংশ ও মূল চালিকা শক্তি, তাই প্রতিষ্ঠান
পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের স্থায়ী শ্রমিক সম্পর্কে একটি
স্বচ্ছ ধারনা থাকা অত্যাবশ্যক।
স্থায়ী শ্রমিক সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা দিতে অত্র লিখায় আমি আমার একটি গবেষনা পত্রের নির্বাচিত কিছু অংশ নিম্নে তুলে ধরলামঃ
গবেষনা পত্রঃ কর্মী নিয়োগ ও নিয়োগ পত্র (নির্বাচিত অংশ)
প্রকাশকঃ বাবর এন্ড এসোসিয়েটস্
"কর্ম হইতে কর্মীর উৎপত্তি"
প্রতিষ্ঠানে কর্মীর শ্রেণী বিন্যাসের ক্ষেত্রে শ্রম আইন এবং উচ্চ আদালতের
পর্যবেক্ষণ গুলো পর্যালোচনায় দেখা যায় কর্মকে ভিত্তি ধরে কর্মীদের শ্রেণী
বিন্যাস করা হয়েছে। তাই আমি কর্মীর শ্রেনী বিন্যাস নির্ধারণে কর্মকে ভিত্তি
ধরে একটি সূত্র নির্ধারণ করেছি; আমার নির্ধারিত সূত্রটি হচ্ছে "কর্ম হইতে
কর্মীর উৎপত্তি "। এই উক্তিটি আমাদের শ্রমিকের শ্রেনী নির্ধারনের ক্ষেত্রে
সূত্র হিসাবে মনে রাখতে হবে এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মী নিম্নক্ত কার্য সম্পাদনে নিয়োগ প্রদান করা হলে উক্ত
কর্মী স্থায়ী শ্রমিক শ্রেনীর অর্ন্তভূক্ত হবেন; তাই আমাদেরকে স্থায়ী
শ্রমিক নিয়োগের পূর্বে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে কি
ধরনের কার্য সম্পাদনে করবেন। প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কার্যটি স্থায়ী
প্রকৃতির কিনা? উক্ত কাজ প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত চলবে কিনা?
এধরণের আরো অনেক বিষয়ের উত্তর খুঁজতে হবে। নিন্মে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬
অনুসারে স্থায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে বিষদ ব্যাখ্যা তুলে ধরা হল।
ব্যবস্থাপনার কর্ম বিভাগ তত্ত্বের আলোকে স্থায়ী শ্রমিকের কাজঃ
একজন স্থায়ী শ্রমিক প্রতিষ্ঠানে দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা
উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরি কর্ম সম্পাদন করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানে
ব্যবস্থাপনা ও কর্ম বিভাজন তত্ত্বের আলোকে চিন্তা করলে এধরনের কর্মকে
প্রতিষ্ঠানের নিম্নস্তরের কর্ম বলে। এ ধরনের কর্ম কর্মী নিজের শ্রম, মেধা,
প্রজ্ঞা দিয়ে অন্যের তত্বাবধান ও নির্দেশনায় সম্পাদন করে। স্থায়ী শ্রমিকের
কার্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কোন কার্য অন্তর্ভুক্ত নয়, যেমন
প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন, শ্রমিক
বা কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ, চাকুরির অবসান বা চাকুরি
হইতে অপসারণ, চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা
কাজের নিয়ন্ত্রণ, কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কোন কাজের বা সেবার
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন, কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রন, বাস্তবায়ন কার্যক্রম
নিয়ন্ত্রণ, কাজের মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা, শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান
বা তদারকি করা ইত্যাদি।
কাজের প্রকৃতি ও স্থায়িত্বকে ভিত্তি ধরলে স্থায়ী শ্রমিকের কর্ম হবে নিম্নরূপঃ
সাধারণত কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত একটি ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জীবন অনন্তকাল
পর্যন্ত হয়ে থাকে। আইনের ভাষায় ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান একটি কৃত্রিম
ব্যক্তি স্বত্ত্বা, ব্যক্তি মানুষের জীবনকাল নির্ধারিত হলেও কৃত্রিম
ব্যক্তি স্বত্ত্বার জীবনকাল নির্ধারিত নয়। একটি কৃত্রিম ব্যক্তিস্বত্ত্বা
আইনের শর্ত সাপেক্ষে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারে। একই ভাবে ব্যবসা বা
প্রতিষ্ঠান ও কৃত্রিম ব্যক্তি সত্ত্বা নিয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারে।
আইনের শর্ত সাপেক্ষে অনন্তকাল বেঁচে থাকা ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ি
কাজ বলতে উক্ত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যতদিন থাকবে সংশ্লিষ্ট কাজও উক্ত
ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানে ততদিন থাকবে; প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার অস্তিত্বের সাথে
এধরনের কাজের অস্তিত্ব জড়িত, এধরনের কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত কোন সময়
নেই।
স্থায়ী শ্রমিকঃ (Permanent Worker)
স্থায়ী শ্রমিকঃ
কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ী
কাজে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিশীকাল
সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন।
[বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ ধারা ৪(৭)]
[ব্যাখ্যাঃ
প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য স্থায়ীভাবে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ
দেয়া হয় অথবা শিক্ষানবিশ শ্রমিক শিক্ষানবিশ কাল সন্তোষজনক ভাবে সম্পন্ন
করলে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত হন। স্থায়ী শ্রমিক হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের
মূল চালিকা শক্তি এবং শ্রম আইন এবং প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী স্থায়ী
শ্রমিক সর্বোচ্চ অধিকার ভোগ এবং সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হন। যখন একটা
প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয় তখন উক্ত প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে
স্থায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য কতজন শ্রমিকের প্রয়োজন হবে তা প্রতিষ্ঠানের
সাংগঠনিক কাঠামো দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং উক্ত সাংগঠনিক কাঠামোর শূণ্য পদ
পূরনের অংশ হিসেবে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়।
কোন স্থায়ী
শ্রমিককে যে পদে নিয়োগ দেয়া হবে উক্ত পদে সরকারের বা নূন্যতম মজুরী বোর্ডের
কোন মজুরি নির্দেশনা না থাকলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মজুরি প্রতিষ্ঠানের নীতি
অনুযায়ী নির্ধারণ করা যাবে। স্থায়ী শ্রমিক চাকুরীতে নিরবচ্ছিন্ন এক বৎসর
অতিবাহিত করলে উৎসব বোনাসের জন্য যোগ্য হবেন এবং শ্রম আইনের শর্ত অনুসারে
উৎসব বোনাস প্রাপ্য হবেন।
অন্যান্য শর্ত সমূহ যেমন কর্মঘণ্টা,
নিরাপত্তা, প্রসূতি কল্যান সুবিধা, কল্যাণ মূলক ব্যবস্থা, মজুরী, দূর্ঘটনার
কারণে ক্ষতিপূরন ইত্যাদি শ্রম আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। কোন স্থায়ী
শ্রমিক, যাহার নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যিনি
মালিকের অধীন অন্ততঃ এক বছর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়াছেন, তাকে লে-অফ করা
হলে, তিনি লে-অফ ক্ষতিপূরণ পাবেন।
স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর
পরিসমাপ্তির সময় শ্রম আইনের শর্ত সাপেক্ষে চাকুরীর দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা
যেমনঃ চাকুরীর পরিসমাপ্তির পূর্বে নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে পরিশোধ;
প্রত্যেক সম্পূর্ন বৎসর বা ছয় মাসের অধিক সময়ের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরন বা
গ্রাচুইটি, ভবিষ্যৎ তহবিল সহ অন্যান্য সকল সুবিধা প্রয়োজন হবে।]
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
hr documents, hr forms and formats, SOPs, policies and procedures, reports and hr template, Human Resources, HR, HRM, OHSMS, HRBP, ISO, Health and Safety, job Interview, Jobs, Nebosh, Labour Law, Talent Management, Social Compliance, AI, HRIS, succession Planing, Training in BD, Human resources management in Bangladesh. strategic Human resource management, hr executive, etc format form https://www.resourceacademiabd.com , hr business partner, role of hr business partner, function of hrbp, hrbp, hrbp challenges, hr business partner model, hrbp certification, why hrbp is important,Human resource Planning, management, hrm, human resource management, Importance of HRM, Purposes of Human Resource Planning, The process of manpower planning, process of hr Planning, The Planning Process,
http://resourceacademia.com/ HR supply forecast, HR programming,
HR demand, The HRP Process, HR Plan Implementation, Training and Development, Retraining and Redeployment, Retention Plan, Performance appraisal, Downsizing plans, Control and Evaluation, Multicultural workforce , Organizational changes, Technical changes in the society, Employment, Factors affecting Human Resource Planning in an organization, Factors in forecasting HR needs,
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Search all kind of Bangla Book, English Book, text book, Health & Safety book, Nebosh, IOSH certification study materials, Bangla novels, short story book in PFD format for free, Please Click here, Bangla Book Bd: https://www.banglabookbd.com/
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
No comments