Scope of Safety Committee under Bangladesh Labor Act (বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সেইফটি কমিটির কার্যপরিধি)
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সেইফটি কমিটির কার্যপরিধি
(ক)
কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান
এবং উহাতে নিয়োজিত শ্রমিকসহ সকলের পেশাগতস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে
আইন ও প্রচলিত অন্যান্য
বিধি-বিধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা
করা;
(খ)
এই তফসিল অনুয়ায়ী প্রণীত চেক-লিস্ট অনুসারে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট ঝুকিঁ বা
ঘাটতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণে মালিক বাকর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা;
(গ)
কর্মস্থল ও কর্মরত শ্রমিকদের
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানে
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিপর্যালোচনা, মালিক বা কর্তৃপক্ষ বরাবর
সুপারিশ প্রদান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ওসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এতদবিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি
করা;
(ঘ)
এই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত অগিড়বনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিকচিকিৎসা দল গঠন
এবং প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিচালনা
করা;
(ঙ)
আইনের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্তবিধান
ও কমিটির সুপারিশবাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মনিটর বা
নিরীক্ষণ, রিপোর্ট সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে সময়েসময়ে
কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন
অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনের জন্যপ্রস্তুত রাখা;
(চ)
ধারা ৩২৩ অনুযায়ী গঠিত ‘জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল’
কর্তৃকপ্রণীত নীতিমালা ও দিক-নির্দেশনার
আলোকে যথাযথ ভূমিকা পালন ও নীতিমালাবাস্তবায়নে মালিক কর্তৃপক্ষকে
সহযোগিতা করা;
(ছ)
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে
প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের বাস্তবায়ন করা;
(জ)
কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন না করা এবং
শিল্প বিরোধ সংক্রান্তকোন বিষয়ে পক্ষ না হওয়া।
(২)
সেইফটি
কমিটির
কার্যাবলি
ও
দায়-দায়িত্ব:
(ক)
কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানে
আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা এবং সপ্তমঅধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ বিধান ও সংশ্লিষ্ট বিধিসমূহের
যথাযথপ্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে স্বীয় দায়িত্বের বর্ণনাসহ একটি গাইডলাইনবা নির্দেশনা বহি প্রস্তুত করিবে;
(খ)
দফা (ক) এর অধীন
প্রণীত গাইড লাইনে নি¤ড়ববর্ণিত বিষয়
অন্তর্ভুক্ত করিতেহইবে, যথা:
১। প্রতিষ্ঠানের
ঝুঁকি
ও
নিরাপত্তা
সংক্রান্তব্যবস্থাপনা:
(ক)
ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ (যেমন-ভবনের অংশবিশেষ,সিঁড়ি, প্রাঙ্গণ, বৈদ্যুতিক লাইন, মেশিনপত্র, ইত্যাদি);
(খ)
ঝুঁকির প্রকৃতি (যেমন-ফাটল, কর্মকালীন সময়ে তালাবদ্ধগেইট, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইত্যাদি);
(গ)
ঝুঁকির মাত্রা বা স্তর (যেমন-উচ্চ/মধ্যম/সাধারণ/সন্তোষজনকনয়);
(ঘ)
আশু করণীয় নির্ধারণ (যেমন-ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাৎক্ষণিকভাবেমেরামত-সংস্কার, বন্ধকরণ);
(ঙ)
ঝুঁকির প্রকৃতি ও স্তরভেদে প্রয়োজনীয়
সুরক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ;এবং
(চ)
কারিগরি ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা
নিরূপণ।
২। যন্ত্রপাতি
ও
কর্মপ্রμিয়া
সংক্রান্তব্যবস্থাপনা:
(ক)
যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্তদিকসমূহ পরীক্ষা;
(খ)
যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই;
(গ)
ত্রæটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ;
(ঘ)
শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থাপরীক্ষা;
এবং
(ঙ)
ক্রটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও প্রস্তাবনা বাসুপারিশ।
৩। বিপজ্জনক
ধোঁয়া,
বিস্ফোরক
ও
দাহ্য
পদার্থের
ব্যবস্থাপনা:
(ক)
বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের
প্রকৃতি নিরূপণ;
(খ)
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা;
(গ)
ব্যবহারিক ও পঙμিয়াগত
ত্রæটি নিরূপণ;
(ঘ)
ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা;
(ঙ)
পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনা; এবং
(চ)
নির্দেশনা ও পরামর্শ।
৪। অগ্নিকান্ডজনিত
ব্যবস্থাপনা:
(ক)
অগ্নিকান্ডের সম্ভাব্য উৎস নির্ণয়;
(খ)
প্রতিরোধ ব্যবস্থা;
(গ)
অগ্নি মোকবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন ওদক্ষতার মান যাচাই;
(ঘ)
জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থাবলী পরীক্ষা ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা
নিরূপণ;
(ঙ)
তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবন্ধকতা দূর করিবার ক্ষেত্রে গৃহিত পদক্ষেপ;
(চ)
অগিড়বনির্বাপণ সরঞ্জামাদির মান পরীক্ষা;
(ছ)
প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বা মহড়া; এবং
(জ)
প্রস্তাব বা পরামর্শ।
৫। দুর্ঘটনা
বিষয়ক
ব্যবস্থাপনা:
(ক)
সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য
আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা;
(খ)
ব্যক্তি পর্যায়ের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা;
(গ)
ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতারকর্ম পরিকল্পনা;
(ঘ)
দায়িত্ব বন্টন;
(ঙ)
উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণএবং
তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরূপণ;
(চ)
বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা;
(ছ)
সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয়;
(জ)
দায়-দায়িত্ব নিরূপণ;
(ঝ)
পুন:দুর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা; এবং
(ঞ)
দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৬। বিপজ্জনক
চালনা,
পেশাগত
ব্যধি
ও
বিষক্রিয়াজনিত
অসুস্থতারব্যবস্থাপনা:
(ক)
প্রতিষ্ঠানে বিধি ৬৮ এর অধীন
তালিকাভুক্ত বিপজ্জনকচালনাযুক্ত পেশাসমূহ নির্ধারণ;
(খ)
প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত তফসিলভুক্ত ও তালিকাভুক্ত রাসায়নিকপদার্থের
তালিকা প্রণয়ন;
(গ)
বিপজ্জনক পেশা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক
পদার্থের সংস্পর্শেকর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার বাধ্যবাধকতানিশ্চিতকরণ;
(ঘ)
সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে স্বাস্থ্যপরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত শারীরিক অসুস্থতার বিষয়েচিকিৎসকদের সহিত মত বিনিময়;
(ঙ)
সংশ্লিষ্ট পেশাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যপরিচর্যা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাপনার
মূল্যায়ন; এবং
(চ)
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উনড়বয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নির্দেশনাপ্রদান।
(৩) সভা
আয়োজন:
(ক)
সেইফটি কমিটির সভা প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার অনুষ্ঠিত হইবে, তবেজরুরি প্রয়োজনে যে কোন সময়ে
সভা আহবান করিতে পারিবে;
(খ)
সভায় নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্তপ্রতিবেদন
বা সার্ভেরিপোর্ট, নিরাপত্তা ও ঝুঁকি সম্পর্কিত
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন,
জরুরিদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইত্যাদিসহপ্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করিতে হইবে;
(গ)
সভার কার্যবিবরণী লিখিতভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকর্তৃপক্ষ ও পরিদর্শকের
চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে।
(৪) অগ্রগতি
পর্যবেক্ষণ
সংক্রান্তচেক
লিস্ট,
প্রতিবেদন
ফরম
প্রণয়ন:
(ক)
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গাইডলাইন
বা নির্দেশনা বহিতে নির্দেশিতবিষয়সমূহের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং কারখানা বা প্রতিষ্ঠানেরউৎপাদন পঙμিয়া,
ভৌত কাঠামো, কর্মের প্রকৃতি ও ধরন, মালামাল
সংরক্ষণ ওপরিবহন, কাঁচামাল-কেমিকেলের ধরন ও ব্যবহার এবং
সেবার ধরন অনুযায়ীশ্রমিকদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করিবার লক্ষ্যে
সেইফটি
কমিটি চেক-লিস্ট প্রণয়ন করিবে;
(খ)
সেইফটি কমিটি মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে
মালিক বা ব্যবস্থাপক বরাবরে
নির্ধারিত চেকলিস্ট ও ফরমে সুপারিশসহ
প্রতিবেদন দাখিল করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, কোন সময় কোনরূপ ত্রæটি-বিচ্যূতি বা
আইন বাএই বিধিমালার কোন বিধানের লংঘন প্রতীয়মান হইলে, উহা সমাধানের জন্যতাৎক্ষণিকভাবে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট
লিখিত আকারে সুপারিশ পেশকরিবে।
(৫) শিক্ষা
ও
প্রশিক্ষণের
আয়োজন:
(ক)
কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের
শ্রমিকসহ সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলের
জন্যসেইফটি কমিটি নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকর্মসূচির আয়োজন করিবে;
(খ)
প্রশিক্ষণে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের
সকল বিভাগ, কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করিতে
মালিক পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে;
(গ)
সব প্রশিক্ষণ ও রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হইবে এবং অফিসেরকর্মসময়ের মধ্যে আয়োজন করিতে হইবে।
(৬)
মহড়া
আয়োজন:
ভুমিকম্প,
অগ্নিকান্ড এবং অন্যান্য দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ
বিষয়ে সেইফটি কমিটি বিধি৫৫ এর উপ-বিধি
(১০) ও (১৪)-তে
বর্ণিত বিধান অনুযায়ী নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন করিবে।
(৭)
তথ্য
বা
ডাটাবেজ
সংরক্ষণ:
(ক)
সেইফটি কমিটি দেশের সেইফটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত দ্রæততমসময়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে ফোন, ই-মেইল, ফ্যাক্স,
বিস্তারিত ঠিকানা সম্বলিততথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণ
করিবে;
(খ)
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বিল্ডিং
কোড, বিদ্যুৎ, অগিড়বনির্বাপণ, পরিবেশ আইনসহসেইফটি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন-কানুন ও বিধি-বিধান
হালনাগাদ অবস্থায় সংরক্ষণকরিবে।
(৮)
চিকিৎসা
ও
ক্ষতিপূরণ
আদায়ে
সুপারিশ
পেশ:
আইনের
দ্বাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা পাইবার ও ক্ষতিপূরণ আদায়েরবিষয়ে
সমাধানের জন্য মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট
লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিতেপারিবেন।
(৯)
নিরাপদ
কর্মস্থল
দিবস
পালন:
জাতীয়
বা আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত ‘নিরাপদ কর্মস্থল দিবস কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানপর্যায়ে
বা এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।
(১০)
জাতীয়
শিল্প,
স্বাস্থ্য
ও
সেইফটি
কাউন্সিল
কর্তৃক
প্রণীত
নীতিমালা:
জাতীয়
শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল
কর্তৃক প্রণীত জাতীয় নীতিমালা এবং সময়েসময়ে জারিকৃত গাইডলাইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের সেইফটি কমিটি কাজকরিবে।
(১১)
সেইফটি
কমিটির
এখতিয়ার,
ইত্যাদি:
সেইফটি
কমিটির
এখতিয়ার
হইবে
নিম্নরূপ,
যথা:
(ক)
সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন
শেষে পরিদর্শক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিদর্শনপ্রতিবেদনে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সেইফটি
সংক্রান্তবিষয়ে কোন মতামতথাকলে উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিবেদন প্রস্তুতের এক মাসের মধ্যেপ্রতিষ্ঠানের
মালিক এবং সেইফটি কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে;
(খ)
কোন বিশেষ প্রয়োজনে বা কোন জরুরি
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভা ব্যতীতসেইফটি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ নিজেদের স্বাক্ষরে মালিক বা ব্যবস্থাপনাকর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন সময়
বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারিবে ;
(গ)
সেইফটি কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানেরমালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ
পাইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের
মধ্যেকোনরূপ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ
না করিলে সেইফটি কমিটি মহাপরিদর্শক বাপরিদর্শকের নিকট লিখিত আকারে অনুযোগ পেশ করিতে পারিবেন এবংমহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত
পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করিবেন;
(ঘ)
সেইফটি কমিটি স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রাখিয়া আইন ও এই বিধিমালা
দ্বারা অর্পিতদায়িত্ব পালন করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সেইফটি কমিটিকেদায়িত্ব প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে;
(ঙ)
সেইফটি কমিটির সদস্যগণ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান
খোলাবা বন্ধ থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন
করিতে পারিবেনএবং মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ
এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয়
সহযোগিতা
প্রদান করিবেন;
(চ)
সেইফটি কমিটির সদস্যদের অধীন গঠিত কমিটি সংক্রান্তকার্যμম পরিচালনা বাপ্রশিক্ষণ
গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ
কর্মসময়ের মধ্যে যুক্তিসঙ্গতও পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিবে।
(১২)সেইফটি
কমিটির
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
পদ্ধতি
ও
উহার
বাস্তবায়ন
:
(ক)
সেইফটি কমিটি কর্তৃক সেইফটি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির সভায়সর্বসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে;
(খ)
সেইফটি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিপালন বা বাস্তবায়ন করিবার
জন্য মালিকপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;
(গ)
সেইফটি কমিটি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা সম্পাদিত কোনকাজের
জন্য অথবা সভায় কোন বিষয়ে মত বা দ্বিমত
পোষণের জন্য কমিটিরকোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করা যাইবে না।
(১৩)
সেইফটি
কমিটির
সদস্যদের
প্রশিক্ষণ:
(ক)
কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং
কর্মপরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ে মালিকবা কর্তৃপক্ষ সেইফটি কমিটির সদস্যদের মালিকের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরিবেন;
(খ)
এইরূপ প্রশিক্ষণ কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের
প্রাঙ্গণে অথবা কোন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আয়োজন করা যাইবে;
(গ)
প্রশিক্ষণ চলাকালীন সদস্যগণ কর্মরত ছিলেন বলিয়া গণ্য হইবেন;
(ঘ)
সেইফটি কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব সকল শ্রমিককেনিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত
থাকিবার বিষয়ে সচেতনতামূলকপ্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে হইI
No comments