Disciplinary Procedures in (Bangla)
১. উদ্দেশ্যঃ
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার
বিধি
অনুযায়ী শ্রমিক
কর্মচারীদের শাস্থিমূলক ব্যবস্থা নেয়া
হয়।
এক্ষেত্রে আইনের
উর্ধ্বে কেউ
নয়
এবং
অন্যায়
ভাবে
কোন
শ্রমিকের বিরুদ্ধে শাস্থিমূলক ব্যবস্থা নিতে
Company name বিশ্বাস করেনা। যথাযথ স্বাক্ষ্য/প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করে
থাকে।
২. কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাস্থিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতিঃ
কোন শ্রমিক/কর্মচারী শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করলে প্রথমে
তাকে
মৌখিক
ভাবে
০৩(তিন) বার সর্তক
করা
হয়।
পরবর্তীতে কোন
অভিযোগ
আসলে
কারণ
দর্শানো নোটিশ
দেয়া
হয়
এবং
জবাব
চাওয়া
হয়।
জবাব
দেওয়ার
পর
অভিযোগের ধরণ
বিবেচনা করে
নোটিশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে
থাকে।
কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়ঃ
০১)
অভিযোগের লিখিত
কপি
অভিযোগকারীকে জবাবের
জন্য
নুন্যতম তিন
দিনের
সময়
দেয়া
হয়।
০২)
কোন
কোন
ক্ষেত্রে অসদাচরনের দায়ে
অভিযুক্ত একজন
শ্রমিককে তার
বিরুদ্ধে আনীত
অভিযোগ
সম্পর্কে তদন্ত
সাপেক্ষে সাময়িক
বরখাস্থ করা
হয়
এবং
বিষয়টি
কোন
আদালতে
বিচারাধীন না
থাকলে
এরুপ
সাময়িক
কর্মচ্যুতির মেয়াদ
৯০
দিনের
বেশী
হয়
না।
উল্লেখ্য যে
এরুপ
সাময়িক
বরখাস্থের জন্য
শ্রমিককে গড়
মজুরীর
অর্ধেক
জীবিকাভাতা প্রদান
করা
হয়।
০৩) সাময়িক বরখাস্থের আদেশ
লিখিতভাবে করা
হয়
এবং
এর
একটি
অনুলিপি শ্রমিকের হাতে
অর্পন
করার
সাথে
সাথে
তা
কার্যকর হয়েছে
বলে
ধরে
নেয়া
হয়।
০৪)
শ্রমিক
দোষী
সাব্যস্থ না
হলে,
তদন্তকালীন সাময়িক
বরখাস্তের সময়ের
জন্য
তাকে
উপস্থিত আছেন
বলে
গন্য
করা
হয়
এবং
এরুপ
সাময়িক
বরখাস্থের সময়ের
জন্য
তাকে
জীবিকা
সমন্বয়
করে
পূর্ণ
মজুরী
প্রদান
করা
হয়।
০৫)
শাস্থি
প্রদানের ক্ষেত্রে, দন্ডাদেশের একটি
অনুলিপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদান
করা
হয়।
০৬)
যদি
একজন
শ্রমিক
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
তাকে
সম্বোধন করা
কোন
নোটিশ,
চিঠি,
অভিযোগপত্র, আদেশ,
অথবা
অন্য
কোন
দলিল
গ্রহণ
করতে
অস্বীকার করেন
তবে
এরুপ
নোটিশ,
চিঠি,
অভিযোগপত্র, আদেশ
বা
দলিল
এর
অনুলিপি নোটিশ
বোর্ডে
প্রদর্শিত করা
হয়
এবং
শ্রমিকের স্থায়ী
এবং
বর্তমান ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ
করা
হয়।
০৭)
কোন
শ্রমিককে দন্ড
দেয়ার
সময়
শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত
অভিযোগের গুরুত্ব, শ্রমিকের পূর্ববতী রেকর্ড
এবং
বিদ্যমান দন্ড
হ্রাস-বৃদ্ধিকারী যে কোন অবস্থা
বিবেচনা করা
হয়।
৩. শ্রমিক কর্তৃক নিন্মবর্ণিত কাজ ও ক্রটিসমূহ অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেঃ
১.
একাকী
বা
সংঘবদ্ধভাবে কোন
উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইনানুগ বা
যুক্তিসংগত আদেশ
ইচ্ছাকৃত ভাবে
পালন
না
করা
বা
কাজে
অবাধ্য
হওয়া।
২.
কোম্পানীর ব্যবসার বা
সম্পত্তি সংক্রাšত ব্যাপারে চুরি,
প্রতারণা বা
অসাধুতা অথবা
কোন
ধরনের
ক্ষতি
সাধন।
৩.
নিজের
বা
অন্য
কোন
শ্রমিকের চাকুরীর ব্যাপারে বা
কোম্পানীর ব্যবসায়িক কোন
লেনদেনে ঘুষ
বা
অবৈধ
কোন
পারিতোষিক গ্রহণ
বা
প্রদান।
৪.
ছুটি
ব্যতিরেকে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি বা
ছুটি
ব্যতিরেকে ১০
(দশ)
দিনের
বেশী
অনুপস্থিতি।
৫.
প্রতিষ্ঠানের যে
কোন
আইন
বা
নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা বা
ভঙ্গ
করার
অভ্যাস।
৬.
কোন
কাজ
না
করার
অভ্যাস
বা
কাজে
অবহেলা।
৭.
অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি।
৮.
শিল্প
প্রতিষ্ঠানে হাঙ্গামামূলক বা
উশৃঙ্খল আচরণ
অথবা
নিয়মানুবর্তিতা ধ্বংশকারী কোন
কাজ।
৯.
কোন
কাজ
বা
ত্রুটি
যার
জন্য
জরিমানা আরোপ
করা
যেতে
পারে
উপর্যুপরি পুনরাবৃত্তি।
১০.
শিল্প
প্রতিষ্ঠানের দলিলপত্র নষ্ট
করা,
ক্ষতি
করা,
বিকৃতি
করা
বা
মিথ্যা
প্রতিপন্ন করা।
১১.
নাম,
বয়স,
যোগ্যতা, পূর্ণ
অভিজ্ঞতা বিষয়ে
মিথ্যা
তথ্য
প্রদান।
১২.
কর্মস্থলে ঘুমানো।
১৩. একাকী বা
সংঘবদ্ধভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে
কাজ
করা
বা
এর
জন্য
উস্কানী দেয়া।
১৪.
কর্তৃপক্ষের অনুমতি
ব্যতিরেকে কোম্পানী বা
এর
নিকটতম
এলাকায়
কোন
ধরনের
পোষ্টার, লিফলেট
প্রচার।
১৫.
অনুমতি
ব্যতিরেকে কর্মক্ষেত্র ত্যাগ।
৪. চাকুরী হতে বরখাস্থ (Dismissal):
অসদাচরনের দায়ে
দোষী
সাব্যস্থ কোন
শ্রমিককে বরখাস্থের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার
বিধি
অনুযায়ী নিম্ন
লিখিতভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান
করা
হয়।
১. প্রকৃত কর্মদিনের বেতন
ভাতা
প্রদান
২.
অসদাচরনের দায়ে
বেপজ
নির্দেশনা ১৫
(সি)
অনুযায়ী অভিযুক্তকারীকে বরখাস্থ করা
হয়।
৫. কর্মচ্যুতি (Discharge)ঃ
কোন
কোন
ক্ষেত্রে অসদাচরনের দায়ে
দোষী
সাব্যস্থ কোন
শ্রমিককে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার
বিধি
অনুযায়ী বরখাস্থের বদলে
লঘু
শাস্থি
হিসেবে
চাকুরী
থেকে
ডিসচার্জ করা
হয়
এবং
এ
ক্ষেত্রে শ্রমিককে তার
পাওনা
(যদি
থাকে)
পরিশোধ
করা
হয়।
১.
প্রকৃত
কর্মদিনের বেতন
ভাতা
প্রদান।
২.
মোট
প্রাপ্য অর্জিত
ছুটির
টাকা
প্রদান।
৬. চাকুরীর অবসান (Termination)ঃ
কোন
স্থায়ী
শ্রমিকের চাকুরীর অবসানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার
বিধি
অনুযায়ী নিম্নলিখিত নিয়ম
মেনে
চলা
হয়
ঃ
১)
নিয়োগদাতা কর্তৃক
স্থায়ী
/ সাময়িক
কর্মচারীর চাকুরীচ্যুতির জন্য
স্থায়ী
কর্মীর
জন্য
১২০
দিন
এবং
অস্থায়ী কর্মীর
জন্য
তার
নিয়োগদাতা কর্তৃক
৬০
দিনের
প্রদান
করতে
হবে।
২)
এক্ষেত্রে শর্ত
থাকে
যে
এরূপ
নোটিশের পরিতবর্তে ১২০
দিন
বা
৬০
দিনের
জন্য
যেখানে
যেমন
প্রয়োজ্য, বেতন
প্রদান
করা
হবে
এছাড়াও
চাকুরীর শর্ত
অনুযায়ী কর্মীর
প্রাপ্য অন্যান্য সকল
সুবিধাদির বাইরে
তাকে
প্রতি
সমাপ্ত
বৎসরের
সেবার
জন্য
বা
ছয়
মাসের
অধিক
আংশিক
বৎসরের
জন্য
একমাসের মূল
বেতনের
সমান
হারে
ক্ষতি
পূরণ
প্রদান
করা
হয়।
৭.
চাকুরী
হতে
পদত্যাগ (জবংরমহধঃরড়হ)ঃ
১.
একজন
স্থায়ী
কর্মী
যদি
কোম্পানীর চাকুরী
হতে
পদত্যাগ করতে
চায়
তবে
তাকে
একমাসের নোটিশ
প্রদান
করতে
হয়।
২.
একজন
কর্মী
যে
চাকুরী
হতে
পদত্যাগ করে
কিন্তু
এরূপ
নোটিশে
প্রদান
করতে
ব্যর্থ
হয়
তবে
এরূপ
নোটিশের পরিবর্তে মূলবেতন সমর্পন
করা
হয়।
৩.
একজন
চাকুরীদাতা এরূপ
পদত্যাগ গ্রহণ
করবেন
যদি
নোটিশ
প্রদান
করা
হয়,
বা
এরূপ
নোটিশের পরিবর্তে যথাযথ
অর্থ
প্রদান
করা
হয়
বা
বেতন
ফেরত
প্রদান
করা
হয়।
৪.
উপরে
যা
বর্ণিত
হয়েছে
তা
সত্তে¡ও যে কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্থিমূলক ব্যবস্থা অপেক্ষা করছে
তার
বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া গ্রহণের তারিখ
হতে
৬০
দিন
অতিক্রান্ত হওয়া
পর্যন্ত চাকুরী
হতে
পদত্যাগ করবে
না।
No comments